নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফিল্মি স্টাইলে মোবাইল বিক্রির কথা বলে ডেকে এনে মোঃ জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে মারধর করে ১৭ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়েছে তার ৩বন্ধু ফাহিম, বাদল ও রাফি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে রামগঞ্জ পৌর আউগানখীল চতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় জাহিদুল ইসলামের হাতে প্রথমে মোবাইলের প্যাকেট পরে গাঞ্জা দিয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করে এ বিষয়ে যেন কাউকে কিছু না বলা হয় বলেও হুমকি দিয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগী। এদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম চন্ডীপুর ইউপির উত্তর চন্ডিপুর ঠাকুর বাড়ীর শেকান্তর মিঞার ছেলে এবং পেশায় একজন রাজমেস্ত্রী।
অপরদিকে অভিযুক্ত ফাহাদ হোসেন ফাহিম পৌর ৩নং ওয়ার্ড আউগানখীল রুগগার বাড়ীর বাচ্চু মিঞার, মোঃ বাদল আমজাদ পাটোয়ারী বাড়ীর মৃত লেয়াকত মিঞার এবং মোঃ রাফি চৈদরী পাটোয়ারী বাড়ীর শহীদ পাটোয়ারীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মোবাইল বিক্রির কথা বলে জাহিদুল ইসলামকে চতলা স্কুল মাঠে ডেকে নিয়ে আসে তার তিন বন্ধু। এসময় মোবাইল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে পকেটে করে টাকা নিয়ে আসে জাহিদুল। স্কুল মাঠে আসা মাত্রই জাহিদুলকে বাথরুমের উত্তর পাশে নিয়ে মারধর শুরু করে পকেটে থাকা ১৭ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় ফাহিম, বাদল ও রাফি। এসময় প্রথমে মোবাইলের প্যাকেট পরে গাঞ্জা দিয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করে ভুক্তভোগীকে হুমকি দেওয়া হয়, এ বিষয়ে যেন কাউকে কিছু না বলে। এদিকে স্কুল গেটের বাহিরে তাদের আরো লোকজন ছিলো বলে জানায় ভুক্তভোগী।
পরে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি রামগঞ্জ থানা পুলিশকে অবিহিত করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালায়।
ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম জানায়, মোবাইল ক্রয়ের বিষয়ে ৪দিন আগে থেকে ফাহিমের সাথে তার কথা হয়। দামদস্তুর হওয়ার পর ঘটনার দিন মোবাইল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে সে টাকা নিয়ে চতলা স্কুল মাঠে আসে। কিন্তু তার সাথে এমন কর্মকান্ডে সে পুরাই হতভম্ব হয়ে যায়। এমন ঘটনা ঘটবে, সে কখনো ভাবেনি কারন সবাই তার বন্ধু।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, হুডির বাজারের পর থেকে চতলা স্কুল মাঠ পর্যন্ত মাদকসেবীদের উৎপাত অনেক বেশী।
অভিযুক্তরা সবাই মাদক সেবী এবং মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। তারা স্কুল ছাত্রীদের ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। তাদের সাথে আরো অনেকে রয়েছে। আর এদেরকে দিয়ে মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করাচ্ছে অত্র ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ীদের এক গটফাদার। ওই গটফাদার মাদক বিক্রির দায়ে বহুবার জেল খেটেছে। বর্তমানে সে এদেরকে দিয়ে তার মাদক ব্যবসার কাজ পরিচালনা করে আসছে। আর তাকে এ কাজে শেল্টার দিচ্ছেন এক জনপ্রতিনিধি।
স্থানীয় সফিকুর রহমান ও সোহরাবসহ কয়েকজন জানান, হুডির বাাজার হতে চতলা মাদকের অভয়ারণ্য, রামগঞ্জের সবচেয়ে বড় মাদকব্যাবসায়ী হুডির বাজারের। যারা ছিনতাই করেছে তাঁরাও ঐ মাদক ব্যাবসায়ীর সঙ্গী। এদের হাত দিয়েই মাদকের চালান আনা নেয়া করা হয়। এছাড়াও আন্দির পাড়ের পুকুর ঘিরে অনেক ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়ে আসছে বহু আগ থেকে।
এই অপরাধরগুলোর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি এবং সেই সাথে এই স্থানটিকে রেড জোন হিসেবে তালিকা ভুক্ত করে সকল অপরাধী কে নির্মূল করার দাবি জানান তারা।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ এমদাদুল হক জানান, এবিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ ফেলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।