• মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান পবনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামীলীগ নেতা শামছুল হক মিজান আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়- হাবিবুর রহমান পবন রামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা রামগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা রামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ৪ বসতঘর পুড়ে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি রামগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা রামগঞ্জে নবাগত ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানের সাথে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় এপিজে আবদুল কালাম পুরস্কার পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল রামগঞ্জে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ফসলি জমি

রামগঞ্জে শিশু সন্তানকে হত্যার দায়ে সৎ মায়ের ১০ বছরের সাজা

Reporter Name / ৯৮৮ Time View
Update : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু আহমেদকে (৩) লাথি মেরে হত্যার পর শয়নকক্ষের খাটের নিচে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় সৎ মা কহিনুর বেগমকে (২৬) ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষিপ্ত হয়ে কহিনুর শিশু আহমেদকে লাথি মারলে সে মারা যায়। পরে মরদেহ বসতঘরে মাটিতে পুঁতে রাখে। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মামলার সময় থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

রায়ের সময়ও তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কহিনুর রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে। মামলার বাদী মিরন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত কহিনুর বাদী মিরনের দ্বিতীয় স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মিরন ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পরিবারিক কলহের প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আহমেদ তার প্রথম সংসারের ছেলে। কিছুদিন পর মিরন রামগঞ্জের কহিনুরকে বিয়ে করে। শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান। ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ২৭ আগস্ট কহিনুর তার স্বামীর বাসায় আসেন।

এরপর মিরনকে তিনি জানান আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইদিন ঢাকা থেকে এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলেকে পাননি। এতে ২৮ আগস্ট হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। পরদিন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাসায় গিয়ে কহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন।

কহিনুর পুলিশকে জানান, ২৬ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে পেটে লাথি দিলে আহমেদ মারা যায়। পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। পরে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৯ আগস্ট বিকেলে দরবেশপুর এসে কহিনুরের বাবার বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একইদিন মিরন বাদী হয়ে কহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একই বছর ৩০ অক্টোবর রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আদালতে আসামি কহিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category