নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে মোঃ মমতাজ মিঞা (৫৫) এবং তার স্ত্রী চখিনা বেগম (৫০), মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২৬), পুত্রবধু রেহানা আক্তারকে (৩০) পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম সুমনের (৩৭) বিরুদ্বে।
ঘটনাটি ঘটেছে, আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড ইছাপুর গ্রামের আলেখার বাড়ীতে।
এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফাতেমা আক্তারকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। বাকীদেরকে সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মমতাজ মিঞা।
সূত্রে জানা যায়, মমতাজ মিঞার ক্রয়কৃত সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলাম সুমনের সাথে গত কয়েকমাস থেকে বিরোধ চলে আসছে। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকালে সুমন ওই সম্পত্তিতে সুপারি পাড়তে গেলে মমতাজ মিঞার পরিবার বাঁধা দিলে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মমতাজ মিঞা জানান, গত ৩ বছর আগে স্থানীয় ফারুক মেম্বার থেকে ৬ শতক জায়গা ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। কিন্তু গত ৬ মাস আগে থেকে সুমন ওই জায়গাটি তার বলে দাবি করে আসছে এবং বাগানে না যেতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ আজকে সে জোরপূর্বক বাগান থেকে সুপারি পাড়তে গেলে আমার স্ত্রী, মেয়ে এবং পুত্রবধু বাঁধা দিলে সে গালাগালি করতে থাকে। এসময় আমার মেয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে গেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আরো ৫-৬জনকে সাথে নিয়ে আমার মেয়েকে প্রচন্ড মারধর করে এবং গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় আমার স্ত্রী এবং পুত্রবধু বাঁধা দিতে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। এসময় সুমন আমার মেয়ে ও পুত্রবধুর মোবাইল জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে আসলে সে আমাকেও এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
এবিষয়ে গুরুতর আহত ফাতেমা আক্তার হাসপাতালে কাতরানো অবস্থায় জানায়, সাইফুল ইসলাম সুমন আমাদের সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক সুপারি পাড়তে এলে আমি, মা এবং ভাবি বাঁধা দিতে গেলে সে আমাদের গালাগালি শুরু করে। এসময় ভিডিও করতে গেলে সে আমাদের প্রচন্ড মারধর করে এবং আমাকে কয়েরবার গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এখন আমার কথা বলতেও অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমি পুকুরে জাল দিতে গেছি। তখন আমার স্ত্রী আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে সুপারি পাড়তে গেলে মমতাজ মিঞার পরিবার বাঁধা দেয় এবং এটি তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি বলে আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমি শুনে ঘটনাস্থলে আসলে তারা আমাকেও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফারুক হোসেন জানান, সুমনের জেঠা তার মেয়েকে ৫৪ শতক জায়গা লিখে দেয়। সেখান থেকে আমি সুমনের জেঠাতো বোন থেকে ১৫ শতক জায়গা ক্রয় করি। পরে আমি মমতাজ মিঞার নিকট ৬ শতক জায়গা বিক্রি করি। সুমন এ বাড়িতে কোন সম্পত্তি পায়না। কারন তার বাবা মালিকানার চেয়েও বেশি সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ ফেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।