• মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান পবনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামীলীগ নেতা শামছুল হক মিজান আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়- হাবিবুর রহমান পবন রামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির সভাপতিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা রামগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা রামগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ৪ বসতঘর পুড়ে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি রামগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা রামগঞ্জে নবাগত ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানের সাথে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় এপিজে আবদুল কালাম পুরস্কার পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল রামগঞ্জে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ফসলি জমি

মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরে প্রতিবাদ

Reporter Name / ১৫৬ Time View
Update : বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

আমি আবু নাছের, পিতা মৃত মাস্টার আব্দুল মতিন মৌলভী, উত্তর হরিশ্চর পূর্ব বড় বাড়ি। আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম।
গত ০৮/১০/২০২৩ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তা সম্পুর্ন বেবুনিয়াদ বা ভিত্তিহীন। কেননা যে মহিলা এখানে বিচার চেয়েছেন, তিনি হলেন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। নাম মারিয়াম সুলতানা (সুইটি)।
উনি যে অভিযোগ তুলেছেন আমার বিরুদ্ধে, আমি একাধিক বিয়ে করে তাদের কে ফুঁসলিয়ে ফাঁসলিয়ে, মিথ্যা কথা বলে তাদের থেকে চেক ও স্ট্যাম্প এনে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। কারন এমন অভিযোগ মারিয়াম সুলতানা (সুইটি) ব্যতিত
অন্য কোন মহিলা সাংবাদিকদের সামনে এসে এমন কিছু বলেননাই। শুধু তিনিই বলেছেন। আর আমি যদি কারো বিরুদ্ধে এমন কিছু করে থাকি, তাহলে তারা আইনের আশ্রয় নেননি কেনো?
যখন আমি আমার নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে আসামীদের কাছে চেক ডিজওনার করে ৩০ ত্রিশ দিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি, তখন তারা কেন সে নোটিশের জবাব দেন নি? তখন কেনো তারা বলেন নি যে আমি তাদের কাছ থেকে চেক ও স্টাম্প চুরি করে এনে মামলা করার চেষ্টা করছি।
এখানে রিতু শিকদার নামে যে নারী রয়েছেন, তিনি ঢাকাতে একটা মামলা করেছেন যখন আমার মামলার ওয়ারেন্ট হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। তখন এর আগে তিনি কোথায় ছিলেন?
আমার মামলা করার আগে এবং তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হওয়ার আগে কেন কোন ব্যবস্থা নেন নি? কিন্তু মামলা করে ও তিনি এর ফল ভালো পাননি। কেননা দূরভাগ্য ওনার মামলা করার পর যখন পি.বি.আইতে তদন্ত দিয়েছিলো, সে সময় উনি সঠিক সাক্ষী প্রমাণ দিতে না পারার কারনে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে যাওয়ার পর ওনার মামলাটি খারিজ হয়ে যায় এবং ওনার বিরুদ্ধে করা আমার মামলাটি ০৯/১০/২০২৩ তারিখে ওনার বিরুদ্ধে রায় হয়। যে রায়ে ওনার সাজা হয় এক বছর এবং জরিমানা করা যায় ১৮,৬৮০০০/- আঠারো লক্ষ আটষট্টি হাজার টাকা।

অথচ মারিয়াম সুলতানা সুইটি সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধেতো আমি কোন মামলা করিনাই।
তাহলে উনি কিসের প্রতারনার বিচার চাইছেন? বা শাস্তি দাবি করেছেন ?
প্রতারণা তো উনি করেছেন আমার সাথে। ওনার সাথে আমার বিয়ের সময় উনি বলেছেন যে উনি অবিবাহিতা কিন্তু পরে আমি দেখতে পাই যে ওনার ১৭ বছরের একটি ছেলে ও ১৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
অথচ তিনি বলেছেন, ওনার বিয়েই হয়নি, তাহলে ওনার ছেলে মেয়ে আসলো কোথায় থেকে?
আর ওনাকে বিয়ের সময় আমি কাবিন করেছি এক লক্ষ টাকা যা কিনা উনাকে আমি নগদে পরিশোধ করেছি। ওনাকে আমি বিয়ে করেছি ৩১/০৩/২০২১ ইং সালে। কিন্তু বিয়ের কয় মাস পর দেখি যে কাবিন দশ লাখ টাকা, উসূল দুই লাখ টাকা। আর বিয়ের তারিখ দেখাচ্ছে ২৬/০৫/২০২১ তারিখে। আপনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলে এতো বড় প্রতারণা করেছেন আমার সাথে। তার মানে আপনি আমার কাছে বিয়ে বসেছেন শুধু মাত্র প্রতারণা করার জন্যই? আপনি আমার থেকে মামলার নাম করে, মামলার নাম বলে নীল পেপারে খালি স্টাম্প ও খালি কাবিনে সই নিয়ে বিভিন্ন নারীর নাম দিয়ে কাবিন বানান আবার আমি সেজে তাদের তালাক ও দেন। এই সব কিছুই আপনার প্লানের অংশ। সব আপনি আমাকে ফাঁসানোর জন্য এবং আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেই ক্রিয়েট করেছেন। তার মানে প্রতারণা আমি করিনি বরং আপনি আমার সাথে প্রতারনা করেছেন। আপনার বিরুদ্ধে আমি এখনো কোন মামলা করিনি বরং আপনিই আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন। তাহলে কি দাঁড়িয়েছে, ব্যাপার? আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেন, বিচার চাইলেন। আবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ও বিচার চাচ্ছেন। আপনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, আপনার কি আদালতের উপর আস্থা নেই?
বিভিন্ন লোক ও আপনার কলিগদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনি আপনার নতুন প্রেমিক রায়পুরের আক্তারকে নিয়ে, সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচারের দাবী করেন। এই আক্তার কে? উনি কেন আপনার সাথে সাথে চলে? আমি কি আক্তারের কাছ থেকেও চেক, স্ট্যাম্প নিয়েছি নাকি? যদি না নিয়ে থাকি, তাহলে সে কেন আপনার পিছে পিছে বা আপনি তার পিছে পিছে চলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন?
আর আমি যদি কোন নারীর সাথে প্রতারণা করে থাকি তাহলে তারা এসে প্রমান দিবে, বলবে যে আমি তাদের সাথে প্রতারণা করেছি, কি ভাবে প্রতারনা করেছি?
আপনি মারিয়ার সুলতানা সুইটি, কেনো বলছেন?

আপনার দাবী, আমি বিভিন্ন নারীকে পটিয়ে বিয়ে করে চেক স্ট্যাম্প নিয়েছি, তাহলে আপনি তাদেরকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত করতে পারেননি কেন?
আর আমি যে পুরুষদের বিরুদ্ধে পাওনা টাকার জন্য মামলা করেছি, তাদেরকেও কি আমি পটিয়ে বিয়ে করে চেক, স্ট্যাম্প নিয়েছি?

এবার আসুন শাহ আলম এর কথা, আমি বিদেশে থেকে আসার পর তার কাছ থেকে জানতে পারি, সে খুব বিপদে আছে। তার পেনশন সংক্রান্ত মামলার জন্য জরুরী টাকার প্রয়োজন বলে আমার কাছে তার একখানা জমিন বিক্রি করে এবং জমিন বিক্রি করে ও তার সমস্যা সমাধান না হলে তিনি আমার কাছ থেকে আরো নগদে ৮,২৫০০০/- আট লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা চেক ও স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে হাওলাত নেয়। এছাড়াও টাকার প্রয়োজনে পানপাড়া টিএমএসএস থেকে তিনি একটি লোন করে। ওই লোন করার সময় তিনি আমাকে সেখানে জামিনদার বানিয়ে আমার পূবালী ব্যাংকের একাউন্টের দুই খানা চেক জমা রেখে সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করে।
কিন্তু যখনই আমি ওনাকে আমার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেই তখন উনি পানপাড়া
টিএমএসএস এর টাকা পরিশোধ করে সেখান থেকে ওনার স্ত্রী সহ গিয়ে আমার চেক দুইটা সহ পাইল বুঝে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তিনি টিএম এসএস থেকে ফেরত আনা কৃত আমার চেকে
টিএমএসএস এর সামনে ওনার নিজের হাতে ওনার নাম লিখে এবং ১৫,৫০০০০ টাকা লিখে। পরে কৃষি ব্যাংক লক্ষীপুর শাখা হইতে ওই চেকটি ডিজওনার করে আমার বিরুদ্ধে চেকের মামলা করার পরিকল্পনা করে। আমি ব্যাংকের এসএমএস পেয়ে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করে ওনার বিরুদ্ধে ফ্রট মামলা দায়ের করি।
এখন সে সব মামলা থেকে বাঁচার জন্য
মারিয়ার সুলতানা সুইটির সাথে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপ্রচার চালাচ্ছে।
আমাদের পুরো এলাকা জানে, কৃষিব্যাংক জানে, তার চাকরি শেষ হওয়ার পরও তিনি কেন এখন পর্যন্ত পেনশনের টাকা পায় নি? কেন তার বিরুদ্ধে টাকা লুটের মামলা করেছে কৃষিব্যাংক ও দুদক। তার নিজের ভাইয়েরা জানে, ওনাদের সম্পদ নিয়ে বান চাল করছে। তার নিজের ছেলেদের সাথে ও তার একাধিক মামলা রয়েছে। তার নিজের ভাইদের যায়গা সে বে আইনিভাবে যুগের পর যুগ দখল করে, তাদের ঠকিয়ে খেয়ে ও ভোগদখল করে আসছে এবং বিভিন্ন লোকের সাথে বিভিন্ন ধরনের মামলা চলমান আছে।
আচ্ছা আমি ধরে নিলাম সে খুব সহজ সরল ভালো মানুষ। কিন্তু তিনিতো একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। তাহলে তিনি কি ভাবে বলে যে সে আমাকে ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও চেক দিয়েছেন?

এবার আসি আবুল কালামের কথা, আমার এলাকার সবাই জানে আমি তার ছেলে কামরুলের কাছে টাকা পাই। সে আমাকে টাকা দিবে দিচ্ছে বলে তিন বছর থেকে ঘুরাচ্ছে। তাহলে এরা কি ভাবে এমন সাহস পায় একটা জলন্ত সত্যিকে মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করতে?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category