নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাহমুদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে, রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী আহম্মদ উল্যা, সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার পাটওয়ারী, পৌর জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি মোঃ খবির উদ্দিন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, কাঞ্চপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মজিবুল হক শেখ।
এসময় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, মাহমুদুর রহমান কখনোই দলের স্বার্থে এবং তৃনমূল নেতাকর্মীদের সার্থে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেননি। তিনি সবসময় নিজের ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করেছেন। দশম সংসদ নির্বাচনের সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে এখন আবার জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, মাহমুদুর রহমান আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের আত্মীয় হওয়ায় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সবসময় প্রভাব খাটিয়ে আসছেন। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এবং চেয়ারম্যান মহোদয়কে ভুলভাল বুঝিয়ে জেলা এবং উপজেলার সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। এখন আবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চান।
অথচ তার সাথে তৃনমুল নেতাকর্মীদের কোন যোগাযোগ নেই। আমরা যারা উপজেলা এবং পৌরসভার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছি, তিনি আমাদের সাথেও যোগাযোগ রাখেননা। এমনকি রামগঞ্জেও আসেননা। সিনিয়র কোন নেতাকর্মীকেই দাম দেননা এবং মূল্যায়ন করেননা।
মাহমুদুর রহমানের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে অনেক ত্যাগী এবং সিনিয়র নেতাকর্মী জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছেন।
বর্তমানে আমরা যারা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করি, আমরা এখন দিশেহারা এবং নেতৃত্বহীন।
তাই আমরা আমাদের পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব জিএম কাদের মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাই, বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে অনুপ্রবেশকারী, দলের জন্য ক্ষতিকারক এবং তৃনমূল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিহীন মাহমুদুর রহমানকে কোনভাবেই যেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়া না হয়। আমরা রামগঞ্জে মাহমুদুরর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
আমরা রামগঞ্জে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে এমন একজন অভিভাবক চাই, যিনি সুখে এবং দুঃখে সবসময় আমাদের পাশে থাকবেন। আশাকরি মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদের তৃনমূল নেতাকর্মীদের কান্না এবং মনের বেদনা বুঝবেন।
এসময়, সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।